দৈনন্দিন জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে অনলাইনে। এখানেও থেমে নেই হয়রানি। বিশেষ করে তরুণী-নারীরা বেশি হয়রানির শিকার হোন। সাইবার বুলিংয়ের শিকার…
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এর ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হতে চলেছেন তিনি।
১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফল মিলিয়ে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। আইভীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার হাতী প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
তৈমুরের চেয়ে ৬৯ হাজার ১০২ বেশি ভোট নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জের মেয়র হতে যাচ্ছেন আইভী।
রোববার সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ।
এদিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়াও সিটির ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন নারী। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের চার জন ভোটার রয়েছেন।
এর আগে ১৯২ কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও কদম রসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়।
একই বছরের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আইভী। সেবার বিএনপিদলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।