দিন দিন বেড়েই চলছে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার। বিশেষ করে তরুণীরা খুবই আগ্রহী চোখ আকর্ষণীয় করে তোলার এই অনুষঙ্গে। অনেক নায়িকা-মডেলও…
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে দেশটির আরো দুই সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অবিলম্বে গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে আরো কঠোর পদক্ষেপের হুমকি বাইডেন প্রশাসনের।
অং সান সুচি সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নানামুখী আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ডের পর এবার দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
তবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে শুধুমাত্র সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিতে চায় ইইউ। নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
এদিকে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৬তম অধিবেশনে দেয়া ভিডিও বার্তায় সু চিসহ আটক সবাইকে মুক্তি দিতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, দমন-পীড়ন ও সহিংসতা বন্ধ করে অবিলম্বে বন্দীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আধুনিক বিশ্বে সামরিক অভ্যুত্থানের কোনো জায়গা নেই।
এর আগে, মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে, সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেয় চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে চীন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সাংবিধানিক ও আইনি কাঠামোর অধীনেই সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং সু চির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা।
বিক্ষোভ দমনে সতর্ক অবস্থানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও। তবে, সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই, সোমবার ধর্মঘটে রাজপথে নামে হাজারো মানুষ।