দিন দিন বেড়েই চলছে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার। বিশেষ করে তরুণীরা খুবই আগ্রহী চোখ আকর্ষণীয় করে তোলার এই অনুষঙ্গে। অনেক নায়িকা-মডেলও…
চীনা শর্ট ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে পাকাপাকিভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। যার ফলে খাদের কিনারায় এদেশে ওই সংস্থায় কর্মরত ২ হাজারের বেশি কর্মীর ভাগ্য । এর মধ্যে বুধবার টিকটকের একটি মন্তব্য কর্মী ছাঁটাইয়ের জল্পনাকে আরও তীব্রতর করেছে।
লাদাখ সীমান্ত বিবাদের জেরে প্রায় সাত মাস আগে টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপকে ভারতে সাময়িক নিষিদ্ধ করার সময়ই সেই সমস্ত সংস্থায় কর্মরত কয়েক হাজার ব্যক্তির চাকরির ভবিষ্যৎ ঘিরে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছিল। সরকারের কাছে বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিও জানাতে থাকে কোনও কোনও মহল। সম্প্রতি অন্যদের সঙ্গে টিকটককে পাকাপাকি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
যার প্রতিক্রিয়া ওই চীনা শর্ট ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপের মুখপাত্র বলেছেন, ‘এক বছরের অর্ধেক সময়েরও বেশি আমরা ভারতে আমাদের ২ হাজারের বেশি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এবার আমাদের কর্মী সংখ্যা হ্রাস করতে হবে।’ যার সরল অর্থ দাঁড়াচ্ছে সেখানে এবার কর্মী ছাঁটাই শুরু হতে চলেছে। তবে ফের ভারতে ফিরে আসার জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে বলেও জানিয়েছে ByteDance-এর মালিকানাধীন এই সংস্থাটি।
গত জুনে ৫৯টি চীনা অ্যাপকে ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ‘হানিকারক’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক, হেলো, উই চ্যাট, ইউসি ব্রাউজার, ইউসি নিউজ, ক্যাম স্ক্যানার, ক্ল্যাশ অফ কিংস, ক্লাব ফ্যাক্টরি, বিগো লাইভ ইত্যাদি। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা এবং ২০০৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিধির সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার আওতায় কেন্দ্র অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করেছিল।
এর সঙ্গেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্র। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ওই অ্যাপগুলির কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, তাদের জবাব এবং ব্যাখ্যা অপর্যাপ্ত। এর ফলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে বলবৎ হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। নভেম্বরে অতিরিক্ত ৪৩টি চীনা মোবাইল অ্যাপের উপর ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সরকারের এই পদক্ষেপের পরে আলিবাবা মালিকানাধীন ইউসি ব্রাউজার তাদের ভারতের দফতর বন্ধ করে দেয়।