করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক থাকায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ বিষয়ে…
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনার টিকা নিয়েছেন। সোমবার সকালে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে টিকা নেন তিনি। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে জুড়ে এদিন থেকেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচি। এটির অধীন প্রথম টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি হলেন মোদি।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়েছেন। ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) তৈরি করেছে এই টিকা। দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচিতে ষাটোর্ধ্ব বয়সী সবাইকে ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সী অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হবে।
টিকা নেয়ার ছবি যুক্ত করে নরেন্দ্র মোদি টুইটে লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রচেষ্টা জোরালো করতে আমাদের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা যেভাবে ত্বরিত কাজ করছেন, তা উল্লেখ করার মতো।’ উপযুক্ত সবাইকে করোনার টিকা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। মোদি বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে ভারতকে করোনামুক্ত করি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মোদি দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচির শুরুতেই টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। টিকা নিতে এআইআইএমএস হাসপাতালে যাওয়ার জন্য তিনি বিশেষ কোনো যাত্রাপথ ব্যবহার করেননি। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে পথ ব্যবহারসংক্রান্ত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেন তিনি।
করোনার চলতি টিকাদান কর্মসূচিতে কোভ্যাক্সিন ছাড়াও ভারতে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট টিকাটি তৈরি করেছে। গত ১৬ জানুয়ারি দেশটিতে প্রথম দফায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।