দিন দিন বেড়েই চলছে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার। বিশেষ করে তরুণীরা খুবই আগ্রহী চোখ আকর্ষণীয় করে তোলার এই অনুষঙ্গে। অনেক নায়িকা-মডেলও…
বিশ্বের সর্বোচ্চ ভাষার দেশ পাপুয়া নিউগিনি। ভাষার দিক দিয়ে অসাধারণ বৈচিত্র্যের দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৮৮ লাখ। এক কোটিরও কম জনসংখ্যার এই দেশে প্রচলিত আছে ৮৬০টি ভাষা। এগুলো মূলত অস্ট্রোনেশীয় পরিবার ও পাপুয়ার নিজস্ব ভাষা। ইংরেজি ছাড়া আরো দুটি ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি সরকার।
ওশেনিয়া মহাদেশের ছোট্ট একটি দেশ পাপুয়া নিউগিনি। দেশটির মূলমন্ত্র ‘বৈচিত্র্যতার মধ্যে এক হওয়া’। ১৯৪৯ সালের ১ জুলাই দেশটি স্বাধীন হয় অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে। পাপুয়া নিউগিনি আয়তন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৪০ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনে মোটামুটি বড় এই দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৮৮ লাখ। যার ৮০ ভাগই থাকেন গ্রামাঞ্চলে।
জনসংখ্যার দিক থেকে খুব বেশি বড় না হলেও, পাপুয়া নিউগিনির ভাষাগত বৈচিত্র্য খুবই সমৃদ্ধ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ৮৬০টি ভাষা প্রচলিত আছে দেশটিতে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষা এঙ্গা। কেন্দ্রবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে প্রায় দু’হাজার মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। এর পরে আছে মেলপা আর হুলি।
নিউ গিনির পুরোনো ভাষাগুলোকে বলা হয় পাপুয়ান, যেসব ভাষায় কথা বলতেন প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে সেখানে বসতি স্থাপনকারীরা। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে, কয়েকটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষার আগমণ ঘটে দেশটিতে। এগুলো প্রচলিত ভাষার চেয়ে একদম ভিন্ন। ধারণা করা হয়, একটি মাত্র উৎস থেকেই আসে ভাষাগুলো।
উনিশ শতকে ইংরেজ ও জার্মানভাষীরা নিউ গিনি শাসন শুরু করে। তবে স্বাধীনতার পর মাত্র তিনটি ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয় দেশটি। সেগুলো হলো-হিরি মোতু, টোক পিসিন ও ইংরেজি। নিউ গিনিতে এমন অনেক ভাষা আছে, যা শুধুমাত্র একটি গোষ্ঠী বা মাত্র কয়েকজন মানুষই বলে থাকে। এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে ১১টি ভাষা। সংরক্ষণের অভাবে আরও অনেক ভাষা হারিয় যেতে পারে বলে আশঙ্কা ভাষাবিদদের।
নিউ গিনির পর সবচেয় বেশি ভাষার দেশ ইন্দোনেশিয়া, যেখানে ব্যবহৃত হয় ৭৪২টি ভাষা। ৫১৬টি ভাষা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে নাইজেরিয়া। আর সংখ্যার দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতে ব্যবহৃত হয় ৪২৭টি ভাষা।
প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যভাগ ও দক্ষিণাংশের দ্বীপসমূহকে একত্রে ওশেনিয়া বলা হয়। তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এই অঞ্চলকে – মেলানেশিয়া, মাইক্রোনেশিয়া এবং পলিনেশিয়া। মতান্তরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে অস্ট্রেলেশিয়া ভাগে রেখে ওশেনিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৪টি স্বাধীন দেশ আছে এই মহাদেশে- অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, ফেডারেল স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, টুভালু, ভানুয়াতু