করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক থাকায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ বিষয়ে…
ভাগ্য কখন কার সহায় হয় সেটা কেউ জানে না। ভাগ্য থাকলে একজন গরিব ভাগচাষিও ‘লাখপতি’ বনে যেতে পারেন। ঠিক এমনটাই হয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে । মাত্র ২০০ টাকায় জমি লিজ নিয়েছিলেন চাষের জন্য। কিন্তু সেই জমি খুঁড়তেই পেয়ে গেলেন হীরা! সেই হীরা বিক্রি করে এখন তিনি লাখপতি।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে আজেবাজে খরচ নয়, সেই কৃষকের স্বপ্ন ওই টাকা ভবিষ্যতে নিজের চার সন্তানের পড়াশোনার জন্য খরচ করা।
লক্ষ্মণ যাদব নামে ওই ভাগচাষি সম্প্রতি একটি জমি লিজ হিসেবে নিয়েছিলেন। একেবারে ছোট জমিটি লিজ নিতে ২০০ টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বদলে যে এত টাকা পেয়ে যাবেন, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। চাষের জন্য জমিটি লিজ নেওয়ার পরই সম্প্রতি সেটি খুঁড়তে শুরু করেন লক্ষ্মণ। আর তখনই একটি পাথর দেখতে পান। কিছুটা পরিষ্কার করতেই বুঝতে পারেন, আসলে সেটি সাধারণ কোনও পাথর নয়, হীরা। এরপরই শহরের একটি দোকানে সেটি দেখান তিনি। তারাও জানায়, এটি আসল হীরা। ওজন ১৪.৯৮ ক্যারাট।
গত শনিবার নিলামে হীরাটি বিক্রি করেছেন লক্ষ্মণ। পেয়েছেন ৬০.৬ লক্ষ টাকা।
কিন্তু এত টাকা দিয়ে কী করবেন? লক্ষ্মণ জানিয়েছেন, কোনও বাজে খরচ নয়। অধিকাংশ টাকাই ফিক্সড ডিপোজিট করবেন। যাতে ভবিষ্যতে তার সন্তানদের পড়াশোনায় কোনও সমস্যা না হয়। ৪৫ বছর বয়সি লক্ষ্মণের কথায়, ‘আমি বেশি কিছু করব না। আমি নিজে কোনওদিন পড়াশোনা শিখিনি। আমি এই টাকার বেশিরভাগটাই ফিক্সড ডিপোজিট করব, যাতে ভবিষ্যতে আমার চার সন্তানের পড়াশোনার জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়।’
তবে শখপূরণ তিনি খানিক করেছেন বইকী তিনি। হীরা বিক্রি করে পাওয়া প্রথম ১ লক্ষ টাকায় নিজের জন্য একটি বাইকও কিনেছেন লক্ষ্মণ।